মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক নৈতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলার পরিচয় বা তার অস্তিত্ব প্রেরনার এক অফুরন্ত উৎস।ইসলামের যাবতীয় শিক্ষা আচার অনুষ্ঠান মহান আল্লাহর অস্তিত্ব ও তার পরিচয় তথা একত্বাদের ধারনার উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ কে? তিনি কি করেন। তার খমতা কি? এ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারলেই তোমরা বুঝতে পারবে এই মহাবিশ্বে আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। সকল ক্ষমতার একমাত্র উৎস হচ্ছেন তিনি। মহাবিশ্বের সৃষ্টির ক্রমবিকাশ, ক্রমোন্নতি ও নিয়ন্ত্রণ এমন এক মহান শাশ্বত সত্তার হতে যিনি অসীম খমতা বিচক্ষণতার অধিকারী।যিনি নিরস্কুশ সার্বভৌম খমতার একচ্ছত্র অধিপতি।যার হাতে রয়েছে সমঘ সৃষ্টিকুলের জীবন ও মরনের চাবিকাঠি, যিনি একও অদ্বিতীয়, অনুপম অবিভাজ্য ওচিরন্তন সত্ত্ব তিনিই হচ্ছেম মহান আল্লাহ।
মহান আল্লাহই একমাত্র সভা যিনি এই মহাবিশ্ব জগতের সৃষ্টি কর্তা,জীবন দাতা,মরনদাতা,বিধানদাতা,একমাত্র তারই রয়েছে নিরস্কুশ সার্বভৌমত্ব ফলে আমাদের একমাত্র তারই ইবাদত বন্দেগী দাসত্ব ও আনুগত্য করা উচিত এবং তিনিই তার উপযুক্ত হকদার আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে প্রার্থনা করা,কোন কিছু চাওয়া, কামনা করা,মনোবাঞ্জা পূরনকারী হিসেবে মনে করা তার একত্ববাদ বা তাত্তহিদের সম্পূর্ন পরিপন্থী। মহান আল্লাহ তা’ আলা তার বান্দাদের উপলব্ধির জন্য পবিত্র আল কোরআনের অসংখ্য স্থানে তার নিজের পরিচয় দানে নানা দিক এবং নানা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধরনা দিয়েছেন।সে বিষয় গুলো অধ্যায়নের মাধ্যমে আল্লাহ ওতার অস্তিত্ব সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।